(Salman Khan) সালমানের বিলাসী জীবনযাপন এবং বিলাসিতার সঙ্গে জড়িত নানা বিষয় প্রায়ই খবরের শিরোনামে উঠে আসে। সম্প্রতি, ভাইজানের এক বিশেষ হাতঘড়ি নিয়ে আলোচনা জোরালো হয়েছে নেটপাড়ায়, যা তাঁর ব্যক্তিগত শখ এবং প্রাচুর্যের এক নতুন দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে। হিরে খচিত এবং রামধনু রঙের ডিজাইনে তৈরি একটি ব্যতিক্রমী Patek Philippe Rainbow Watch সালমানের হাতে দেখা গেছে, এবং এর মূল্য শুনলে চমকে উঠবেন আপনি।
তিন লাখ ডলার মানে প্রায় ২৩ কোটি টাকা!
এটি একটি অত্যন্ত বিলাসবহুল ওয়াচ, যার সেলিব্রিটিদের মধ্যে খুব জনপ্রিয়তা রয়েছে। তবে সালমান খানের হাতে পরা এই ঘড়ির মূল্য জানার পর নেটিজেনদের মধ্যে চর্চা শুরু হয়ে গেছে। ‘ইন্ডিয়ান হরোলজি’ নামক ইনস্টাগ্রাম পেজ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই হিরে খচিত Patek Philippe রেইনবো ওয়াচের দাম প্রায় ৩ লাখ মার্কিন ডলার, যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২৩ কোটি টাকার কাছাকাছি। ১৩০টি হিরে বসানো এই ঘড়ির ডিজাইনই একে আলাদা ও ব্যতিক্রমী করে তুলেছে, যা দেখতে একেবারে রামধনু রঙের মতো। এটি শুধু দামি নয়, দেখতেও অত্যন্ত আকর্ষণীয় এবং বিশেষ।
সালমানের বিলাসী জীবনযাপন

বলিউডের একাধিক সেলিব্রিটিরা তাঁদের বিলাসী জীবনযাপনের জন্য পরিচিত। কিন্তু সালমান খান যেভাবে তাঁর জীবনযাপন করেন, তাতে তিনি এক নতুন মানদণ্ড তৈরি করেছেন। খ্যাতি এবং অর্থের সঙ্গে একাধিক বিলাসবহুল জিনিসের প্রতি তাঁর ভালোবাসা পরিলক্ষিত হয়, বিশেষ করে তাঁর গৃহসজ্জা, গাড়ি, পোশাক এবং হাতঘড়ির ক্ষেত্রে। একদিকে যেমন তাঁর ফ্ল্যাট সোজাসাপ্টা এবং ছিমছাম, অন্যদিকে তাঁর পোশাক ও আভূষণের প্রতি আগ্রহ অনেকেই লক্ষ্য করেছেন।
এর আগে, সালমান খানের হাতে Rolex এবং Hublot এর মতো বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডের ঘড়িও দেখা গেছে, তবে Patek Philippe Rainbow Watch একেবারে আলাদা স্তরে অবস্থান করছে। একদিকে যেমন এই ঘড়িটি দৃষ্টিনন্দন, তেমনই এটি একটি অত্যন্ত বিলাসবহুল এবং শৌখিন পছন্দ হিসেবে চিহ্নিত।
অম্বানির সঙ্গে তুলনা
বহু সেলিব্রিটির বিলাসবহুল জীবনযাপনকে নিয়ে চর্চা হলেও, সালমানের এই ঘড়ি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হওয়ায় অনেকে তাঁকে ভারতের সবচেয়ে বড় শিল্পপতি মুকেশ অম্বানির (Mukesh Ambani) সঙ্গে তুলনা করছেন। একজন নেটিজেন লিখেছেন, “অম্বানি লেভেলের রিস্ট গেম!” অন্য একজন আবার মন্তব্য করেছেন, “শুধুমাত্র ভাই (Salman Khan)ই এই কাজ করতে পারেন।”
এটি সবার কাছে পরিষ্কার, সালমান খান শুধু একজন অভিনেতাই নন, তিনি একটি জীবন্ত ব্র্যান্ড। বলিউডে তাঁর সাফল্য এবং দীর্ঘ ক্যারিয়ারকে মেনে নিয়েই তিনি এই ধরনের বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন। তাঁর কাছে যেসব বস্তু রয়েছে, তা শুধু দামি নয়, অতি বিরল এবং বিশ্বমানের।প্রাচুর্য এবং শখের প্রতি আনুগত্য
সালমান খানের শখের তালিকায় শুধু ঘড়ি নয়, অন্যান্য বিলাসবহুল আইটেমও রয়েছে। তাঁর গ্যারেজে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় গাড়ির সংগ্রহ, বাড়ির সাজসজ্জায় অমূল্য জিনিসপত্র, এবং ব্যক্তিগত জীবনযাপনে বিলাসিতা রয়েছে। তাঁর বাসস্থান ‘গ্যালাক্সি’ ফ্ল্যাটেও অনেক দামি জিনিস রয়েছে, যার মধ্যে কিছু বিশেষ সংগ্রহযোগ্য আইটেমও রয়েছে। এটি পরিষ্কার যে, সলমন খানের জীবন শুধুমাত্র একটি অভিনয় ক্যারিয়ার বা প্রফেশন নয়, এটি এক ধরনের শখ এবং বিলাসিতার প্রতীক।
বলিউডের শীর্ষ তারকা: পেশাদারিত্বের অঙ্গীকার
তবে এসব বিলাসবহুল শখের পিছনে রয়েছে এক কঠিন পেশাদারিত্বের চিত্রও। ৩ দশক ধরে বলিউডের সফল অভিনেতা সালমান খান তাঁর ক্যারিয়ারে অগণিত সফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁর জনপ্রিয়তা শুধু ভারতেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রয়েছে। তাঁর প্রযোজনা সংস্থা Salman Khan Films (SKF) এর অধীনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিনেমা প্রযোজনা করা হয়েছে। পাশাপাশি, সালমান খান সমাজসেবা এবং দাতব্য কাজেও বহু বছর ধরে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন, বিশেষ করে Being Human Foundation এর মাধ্যমে।
সব মিলিয়ে, সালমান খান আজ শুধু একজন অভিনেতা নন, তিনি একটি লাইফস্টাইল আইকন। তাঁর হাতঘড়ি থেকে শুরু করে বাড়ি, গাড়ি, পোশাক—সব কিছুই তার শখ এবং পরিশ্রমের ফলস্বরূপ। তার এই বিলাসী জীবনযাপন এবং শখের প্রতি আগ্রহ তাঁকে আরও বিশেষ করে তোলে, এবং এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, সলমনের শখের তালিকা অনেকেরই কল্পনার বাইরে।