বাইরের তাপমাত্রা ৩০+ ডিগ্রী। সামনে এই তাপমাত্রা বেড়ে যাবে ৩৫-৩৭ এ। গ্রীষ্মের প্রচন্ড গরমে অতিষ্ট সবাই। বড়রা তো মেনে নিতে পারে, বাচ্চাদের জন্য মানিয়ে নেওয়া, বোঝা খুবই কষ্টের। এর মাঝে গরমের রোগ ব্যাধি তো আছেই। গরমের তীব্রতায় বাচ্চাদের খাবারের প্রতিও কোন আগ্রহ থাকে না। গ্রীষ্মের প্রচন্ড গরমে বাচ্চাদের খাবার রুটিনের গরমিল যেন নিত্য দিনের ব্যাপার।
গরমে বাচ্চারা কী খাবে, খাবারের ধরন কেমন হওয়া উচিত, কীভাবে তাদের ভালো রাখা যাবে এই নিয়ে বাবা মায়ের উৎকন্ঠার শেষ নেই। তাদের কিছুটা স্বস্তির জন্যই আমার আজকের লেখা।
শরীর ঠান্ডা রাখুন:
গ্রীষ্মকালে শিশুর শরীর অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে এবং গরমের কারণে দ্রুত ঘেমে যায়। তাই শিশুকে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করুন। হালকা, ঢিলেঢালা ও সুতির কাপড় পরান যাতে শরীর পর্যাপ্ত বাতাস পায়। দিনে একাধিকবার হালকা গরম বা স্বাভাবিক পানিতে গোসল করানো ভালো। শিশুকে এমন স্থানে রাখুন যেখানে সরাসরি রোদ পড়ে না, এবং ঘরে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল করে। অতিরিক্ত গরমের সময় শিশুর মাথায় সুতির টুপি বা পাতলা কাপড় ব্যবহার করুন। শরীর ঠান্ডা থাকলে শিশুর বিরক্তি কমে, ঘুম ভালো হয় এবং অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।
পর্যাপ্ত পানি ও তরল দিন:
গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমে শিশুর শরীর থেকে সহজেই পানি বের হয়ে যায়, ফলে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই শিশুর শরীরে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ৬ মাসের বেশি বয়সী শিশুকে দিনে বেশ কয়েকবার পরিমাণমতো পানি পান করাতে হবে। পাশাপাশি, ডাবের পানি, লেবু পানি কিংবা ঘরে তৈরি ওআরএস (ORS) খুবই উপকারী। এগুলো শুধু পানিশূন্যতা দূর করে না, বরং শিশুর শরীরকে ঠান্ডা ও সতেজ রাখতেও সাহায্য করে। ছোট শিশুদের জন্য পাতলা স্যুপ, ফলের রস বা ছানা মেশানো তরল খাবারও দিতে পারেন। তবে বাজারের সোডা বা মিষ্টি পানীয় একদম এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এতে থাকা কেমিক্যাল ও অতিরিক্ত চিনি শিশুর শরীরের ক্ষতি করতে পারে।
ঘর ঠান্ডা রাখুন:
গ্রীষ্মের গরমে শিশুকে আরামদায়ক রাখতে ঘরের পরিবেশ ঠান্ডা রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি এসি বা কুলার ব্যবহার সম্ভব না হয়, তাহলে জানালা খুলে ভালোভাবে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করুন। দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সূর্যের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি থাকে, তাই এই সময়ে ঘরের পর্দা টেনে দিন এবং সরাসরি রোদ যেন না আসে সে বিষয়টি নিশ্চিত করুন। ঘরে একটি ফ্যান চলতে থাকলে শিশুর শরীর ঘেমে যাবে না এবং বায়ু চলাচলে সে স্বস্তি পাবে। ঘর গরম হলে শিশুর মেজাজ খিটখিটে হয়ে যেতে পারে, এমনকি হিট র্যাশও হতে পারে, তাই ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।
ঘন ঘন গোসল:
শিশুর শরীর থেকে ঘাম এবং ধুলাবালি দূর করতে গ্রীষ্মে দিনে অন্তত দুইবার গোসল করানো উচিত। হালকা গরম বা স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করলে শিশুর শরীর ঠান্ডা থাকবে এবং সে স্বস্তি অনুভব করবে। গোসলের মাধ্যমে শিশুর ত্বক পরিষ্কার থাকে, র্যাশ বা ঘামাচির মতো সমস্যাও কম হয়। বেবি সাবান বা অ্যালার্জি-মুক্ত প্রাকৃতিক ক্লিনজার ব্যবহার করা ভালো। তবে খেয়াল রাখতে হবে, অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি যেন ব্যবহার না হয়, কারণ এতে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা থাকে। গোসলের পর শিশুর শরীর ভালোভাবে মুছে নিতে হবে এবং পরিষ্কার, শুষ্ক পোশাক পরাতে হবে।
সূর্যের তীব্রতা থেকে রক্ষা:
গ্রীষ্মের দুপুরবেলা সূর্যের তীব্রতা শিশুর শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকর হতে পারে। এ সময় সরাসরি রোদের সংস্পর্শে আসলে শিশুর ত্বক পুড়ে যেতে পারে, ডিহাইড্রেশন হতে পারে এবং হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ে। তাই শিশুকে দুপুর ১১টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে বাইরে নেওয়া একদম এড়িয়ে চলুন। যদি বের হওয়া একান্তই প্রয়োজন হয়, তাহলে হালকা রঙের সুতির কাপড় পরিয়ে দিন এবং মাথায় সুতির টুপি বা পাতলা তোয়ালে দিন। শিশুর গায়ে ছায়া দেওয়ার জন্য ছাতা ব্যবহার করাও উপকারী। বাইরে থেকে ফিরেই শিশুর মুখ, হাত-পা পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে দিন এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে দিন। সূর্যের তাপ থেকে রক্ষা পেলে শিশুর ত্বক ও স্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সহজ হয়।
পুষ্টিকর হালকা খাবার দিন:
গরমের দিনে শিশুর হজম শক্তি কিছুটা কমে যায়। তাই ভারী, মসলাদার খাবার না দিয়ে হালকা ও সহজপাচ্য খাবার দিন। খিচুড়ি, নরম ভাত-সবজি, দুধ-সেমাই বা সুজি জাতীয় খাবার উপযুক্ত। প্রচুর মৌসুমি ফল যেমন আম, তরমুজ, পেঁপে, জাম, কমলালেবু ইত্যাদি ছোট করে কেটে খাওয়াতে পারেন। এতে শরীর থাকবে ঠান্ডা, এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ উপাদানও পাওয়া যাবে।
পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন:
গরমে অনেক সময় শিশু ঠিকমতো ঘুমাতে চায় না। ঘরে শান্ত পরিবেশ তৈরি করুন, ঘুমানোর আগে হালকা গোসল করিয়ে দিন এবং নরম, আরামদায়ক বিছানায় শুইয়ে দিন। পর্যাপ্ত ঘুম শিশুর শরীর ঠান্ডা রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মন ভালো রাখে।
ত্বকের যত্ন নিন:
ঘাম, ধুলা ও তাপের কারণে শিশুদের ত্বকে ঘামাচি বা র্যাশ দেখা দিতে পারে। তাই প্রতিদিন ত্বক পরিষ্কার রাখা জরুরি। বেবি পাউডার ব্যবহার করতে পারেন, তবে পরিমিত এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী। ন্যাপকিন ব্যবহার করলে ঘন ঘন পরিবর্তন করুন এবং ন্যাপকিন মুক্ত সময় দিন যেন ত্বক শ্বাস নিতে পারে।
গ্রীষ্মকালে শিশুর খাদ্যতালিকা কেমন হওয়া উচিত?
গ্রীষ্মকাল শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য অনেকাংশেই চ্যালেঞ্জের সময়। প্রচণ্ড গরম, ঘাম, পানিশূন্যতা, হিট র্যাশসহ নানা সমস্যা হতে পারে। শিশুরা গরমে অস্বস্তি বোধ করে এবং অনেক সময় খাওয়ার আগ্রহও হারিয়ে ফেলে। তাই এই সময়ে এমন একটি খাদ্যতালিকা তৈরি করা জরুরি, যা শিশুকে ঠান্ডা রাখবে, শরীরের পানির ভারসাম্য বজায় রাখবে এবং পর্যাপ্ত পুষ্টি সরবরাহ করবে।

পর্যাপ্ত পানি এবং তরল খাবার
গরমের কারণে শিশুর শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে প্রচুর পানি বেরিয়ে যায়। এজন্য শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ছয় মাসের বেশি বয়সী শিশুদের প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করাতে হবে। পাশাপাশি, ঘরে তৈরি ওআরএস, ডাবের পানি, পাতলা ডাল, স্যুপ এবং লেবু পানি খাওয়াতে পারেন। বাজারের প্রক্রিয়াজাত জুস ও কোমল পানীয় এড়িয়ে চলাই ভালো।
হালকা এবং সহজপাচ্য খাবার
গ্রীষ্মকালে শিশুর হজমক্ষমতা কমে যায়, তাই ভারী, তেল-মসলা ও অতিরিক্ত প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার না দিয়ে হালকা ও সহজপাচ্য খাবার দিন। খিচুড়ি, নরম ভাত, ডাল, সবজি, সুজি, সেমাই, রুটি-সবজি ইত্যাদি ভালো বিকল্প। রান্নার সময় অতিরিক্ত তেল ও ঝাল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। বাচ্চাদের পেট যেন ভরা থাকে, কিন্তু অতিরিক্ত চাপ না পড়ে—সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
মৌসুমি ফল ও সবজি
গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি ফল যেমন তরমুজ, পেঁপে, আম, জাম, কমলালেবু, আনারস শিশুর জন্য খুবই উপকারী। এসব ফলে থাকে প্রচুর পানি, ভিটামিন-সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও মিনারেল, যা শিশুর শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তবে একবারে বেশি না দিয়ে অল্প অল্প করে এবং ভালোভাবে ধুয়ে খাওয়াতে হবে।
সবজির মধ্যে করলা, লাউ, পুঁইশাক, শসা, ঝিঙ্গা ইত্যাদি উপকারী। এগুলো সহজে হজম হয় এবং শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
দুধ ও দুধ-জাতীয় খাবার
দুধ শিশুদের প্রধান পুষ্টির উৎস। গ্রীষ্মকালে দুধে দ্রুত জীবাণু জন্মাতে পারে, তাই দুধ অবশ্যই ভালোভাবে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে খাওয়াতে হবে। চাইলে ছানা, দই, ঘোল ইত্যাদি দিয়েও শিশুদের খাবার প্রস্তুত করতে পারেন। এগুলো পেট ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে এবং হজমে সহায়তা করে।
প্রোটিনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা
শিশুর প্রোটিন প্রয়োজন হলেও গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত ডিম, মাংস বা মাছ এড়িয়ে চলা ভালো, কারণ এগুলো গরমে শিশুর শরীর আরও বেশি উত্তপ্ত করে তুলতে পারে এবং হজমে সমস্যা হয়। সপ্তাহে দুই-তিনবার হালকা রান্না করা মাছ বা ডিম খাওয়ানো যেতে পারে। গরুর বা খাসির মাংস এই সময়ে কম দেওয়াই ভালো।
আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয়, ও বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন
অনেক অভিভাবক গরমের সময় শিশুকে ঠান্ডা রাখার জন্য আইসক্রিম বা ঠান্ডা পানীয় দেন, যা একদমই উচিত নয়। এসব খাবারে চিনি ও কেমিক্যাল বেশি থাকে এবং হজমে সমস্যা করে। পাশাপাশি রাস্তার ফুচকা, চাট, প্যাকেটজাত স্ন্যাকস, চিপস বা প্রসেসড খাবার শিশুর জন্য খুবই ক্ষতিকর।
নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী খাবার দিন
গ্রীষ্মে শিশুদের ক্ষুধা কমে যায়, তাই নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী অল্প অল্প করে বারবার খাবার দিন। সকাল, দুপুর ও রাতে প্রধান খাবার ছাড়াও দুপুরের দিকে হালকা স্ন্যাকস যেমন ফল, জুস বা সুজি খাওয়াতে পারেন। খেয়াল রাখুন যেন শিশু একেবারে ক্ষুধার্ত না হয় কিংবা অতিরিক্ত খেয়ে না ফেলে।
শিশুর খাদ্য পরিবেশন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
গরমে খাবার দ্রুত নষ্ট হয়, তাই শিশুর খাবার সবসময় ভালোভাবে রান্না ও পরিবেশন করতে হবে। ফ্রিজ থেকে খাবার বের করে সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশন না করে কিছুক্ষণ রেখে দিন যাতে তা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আসে। শিশুকে খাবার দেওয়ার আগে ও পরে হাত ধোয়ানো এবং থালা-বাসন পরিষ্কার করে রাখা অত্যন্ত জরুরি।
উপসংহার
গ্রীষ্মকালে শিশুর খাদ্যতালিকা হতে হবে সহজ, পুষ্টিকর এবং ঠান্ডা রাখার উপযোগী। পর্যাপ্ত পানি, তরল, মৌসুমি ফল, হালকা খাবার এবং পরিষ্কার পরিবেশ শিশুর সুস্থতায় বড় ভূমিকা রাখে। নিয়মিত ঘুম, গোসল এবং রোদ থেকে দূরে রাখার পাশাপাশি একটি পরিপূর্ণ ও সচেতন খাদ্যতালিকা শিশুকে গরমের কষ্ট থেকে অনেকটাই রক্ষা করতে পারে।
১০টি সাধারণ প্রশ্ন (FAQ) এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর :
১. গ্রীষ্মকালে শিশুর খাবারে কী ধরনের পরিবর্তন আনা উচিত?
উত্তর: এই সময় হালকা, সহজপাচ্য ও পানিযুক্ত খাবার যেমন খিচুড়ি, ডাল-ভাত, ফলমূল এবং দই খাওয়ানো উচিত।
২. গরমে শিশুকে দিনে কতবার পানি দেওয়া উচিত?
উত্তর: ৬ মাসের বেশি বয়সী শিশুদের দিনে বারবার অল্প অল্প করে পানি দিতে হবে, গড়পড়তা ৬–৮ গ্লাস বা তার বেশি প্রয়োজন হতে পারে।
৩. গ্রীষ্মে শিশুর জন্য কোন ফলগুলো উপকারী?
উত্তর: তরমুজ, পেঁপে, আম, আনারস, জাম এবং শসা—এসব পানিযুক্ত ও ভিটামিনসমৃদ্ধ ফল খুবই উপকারী।
৪. শিশুকে আইসক্রিম বা ঠান্ডা পানীয় দেওয়া কি ঠিক?
উত্তর: না, এসব খাবারে চিনির মাত্রা বেশি এবং হজমে সমস্যা করে। বরং ঘরে তৈরি লেবু পানি বা ফলের রস ভালো বিকল্প।
৫. শিশুর হিট র্যাশ বা ঘামাচি রোধে কী করা যায়?
উত্তর: ঘন ঘন ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল, পাতলা ও সুতির জামা পরানো এবং ঘর ঠান্ডা রাখা উপকারী।
৬. গরমে শিশুর ঘুম ঠিক রাখতে কী করবেন?
উত্তর: শিশুকে ঠান্ডা ঘরে ঘুমাতে দিন, ঘাম দূর করার জন্য পরিষ্কার জামাকাপড় পরান এবং ঘুমের আগে হালকা খাবার দিন।
৭. গ্রীষ্মে শিশুর শরীর ঠান্ডা রাখার সহজ উপায় কী?
উত্তর: পর্যাপ্ত পানি ও তরল খাবার, হালকা কাপড়, শীতল ঘর এবং দিনে ২ বার গোসল।
৮. গরমে শিশুরা কেন খাবারে অনীহা দেখায়?
উত্তর: অতিরিক্ত গরমে হজম ক্ষমতা কমে যায়, তাই শিশুরা ক্ষুধামান্দ্য বা অরুচি অনুভব করে।
৯. বাইরে নিয়ে গেলে শিশুকে কীভাবে সুরক্ষিত রাখা যাবে?
উত্তর: হালকা রঙের ঢিলেঢালা জামা, ছাতা বা টুপি ব্যবহার করুন এবং সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলুন।
১০. শিশুর খাবার কতবার করে দেওয়া উচিত গ্রীষ্মে?
উত্তর: দিনে ৫-৬ বার অল্প অল্প করে খাবার দিন, যেন হজম সহজ হয় এবং পুষ্টি বজায় থাকে।