বাংলাদেশের কিংবদন্তি অভিনেতা শাকিব খানের নতুন সিনেমা ‘দরদ’ আজ (১৫ নভেম্বর) মুক্তি পেয়েছে।
ছবিটি একযোগে বাংলাদেশ, ভারতসহ ২২টি দেশে প্রদর্শিত হচ্ছে, যা চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটি পরিচালনা করেছেন জনপ্রিয় পরিচালক অনন্য মামুন, এবং ছবির বিপরীতে অভিনয় করেছেন বলিউড অভিনেত্রী সোনাল চৌহান।
মুক্তির আগে দর্শকদের মাঝে উত্তেজনা
মুক্তির আগে থেকেই ‘দরদ’ নিয়ে দর্শকদের মাঝে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছিল। সিনেমার গান এবং ট্রেলার অনলাইনে প্রকাশিত হওয়ার পর তা ব্যাপক প্রশংসিত হয়, এবং দর্শকরা ছবিটি দেখার জন্য আগ্রহী হয়ে ওঠেন। বিশেষ করে, সিনেমাটির থ্রিলার ধাঁচের গল্প এবং শাকিব খানের অভিনয় বেশ নজর কাড়ে।
সিনেমার মুক্তি: নতুন দিগন্ত
এটি বাংলাদেশের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা, কারণ ঈদ ছাড়া বড় বাজেটের সিনেমা মুক্তি পায় না—এমন প্রচলিত ধারণা চ্যালেঞ্জ করেছে ‘দরদ’। ছবিটি প্রথম সপ্তাহে ৮৩টি হলে মুক্তি পাচ্ছে এবং হলগুলোতে ২৬টি শো প্রদর্শিত হবে, যার মধ্যে স্টার সিনেপ্লেক্স বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। স্টার সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ বিপণন কর্মকর্তা মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ‘দরদ’-এর অগ্রিম টিকিট বিক্রি অত্যন্ত ভালো হয়েছে, এবং শেষ মুহূর্তে আরো ৪টি শো বাড়ানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মুক্তি
নির্মাতা অনন্য মামুন জানিয়েছেন, ‘দরদ’ শুধু বাংলাদেশের সিনেমা হলে নয়, এটি একযোগে ২২টি দেশে মুক্তি পাচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও অন্যান্য দেশে। এ ছাড়া ছবিটির আন্তর্জাতিক মুক্তি চলচ্চিত্রের ব্যাপক সাফল্য এবং বাংলাদেশের সিনেমার গ্লোবাল বাজারে প্রবেশের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। তিনি আরও যোগ করেন, “আমার আত্মবিশ্বাস আছে যে, দর্শক ‘দরদ’ দেখলে খারাপ বলতে পারবেন না।”
দর্শকদের প্রতি আশাবাদ
চলচ্চিত্র বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ‘দরদ’ বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের প্রতি দর্শকদের আগ্রহের মাত্রা বাড়াবে এবং বাংলাদেশের সিনেমার আন্তর্জাতিক বাজারেও এটি নতুন পথ উন্মোচন করবে। ছবির কনটেন্ট এবং গুণগত মান নিয়ে নির্মাতা পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী, এবং বিশ্বাস করেন যে এই সিনেমা দর্শকদের মন জয় করবে।
‘দরদ’ হল বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য একটি বড় ধরনের সাফল্য। ছবির মুক্তি শুধু বাংলাদেশের সিনেমা প্রেমীদের জন্য নয়, আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের সিনেমার প্রতিচ্ছবি হয়ে থাকবে। এটাই শাকিব খান ও অনন্য মামুনের জন্য নতুন এক যাত্রার শুরু। এখন সময় এসেছে, সিনেমাটি কতটা দর্শকপ্রিয়তা লাভ করে এবং বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের প্রেক্ষাপটকে কতটা পরিবর্তন করে, তা দেখার।